গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছে

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছে

গাজায় ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা।

শনিবার রাতে গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ওয়াফা। তবে রয়টার্স স্বাধীনভাবে এই তথ্য যাচাই করতে পারেনি।

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ ফিলিস্তিনি। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা। মাসব্যাপী এই যুদ্ধের অবসান চায় তারা।

৭ অক্টোবর, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের একটি সশস্ত্র সংগঠন হামাস, ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ১৫০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করে। প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকে গাজায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরাইল। প্রথমে তারা বিমান হামলা শুরু করে। এখন বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চলছে।

ইসরায়েলের দাবি, গাজার মাটি থেকে হামাসকে নির্মূল করতেই তারা এই হামলা চালাচ্ছে। তাদের টার্গেট সাধারণ ফিলিস্তিনিরা নয়। কিন্তু হামাস সাধারণ ফিলিস্তিনিদের 'মানব ঢাল' হিসেবে ব্যবহার করছে।

মাগাজি শরণার্থী শিবিরে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানতে চেয়েছে রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেছেন, হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে নিহতের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করেননি তিনি।

আল কিদরা আরও বলেন, হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে আর জায়গা না থাকায় গুরুতর আহত কয়েকজনকে মেঝেতেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।