আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস


আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বে দিবসটি পালন শুরু হলেও বাংলাদেশে এই দিবস পালন শুরু হয় ২০১৪ সাল থেকে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ফার্মেসি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করে।’

দিবসটি সারা বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন ফার্সাসিস্ট সংগঠনের ব্যানারে পালিত হয়েছে।

ফার্মাসিস্ট পেশা বৈশ্বিকভাবে প্রথম সারির সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী পেশার মধ্যে একটি। ফার্মাসিস্টরা যেমন একাধারে ওষুধ তৈরি, বিপণন এবং নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন তেমনি ফার্মেসির পেশার সঙ্গে শিক্ষকতা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সুতরাং একটি ফার্মেসি নিঃসন্দেহে আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশ্বস্ত সঙ্গী। 

বাংলাদেশের অধিকাংশ ওষুধ বিক্রি হয় ফার্মাসিস্টের পরামর্শে। বর্তমান বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থান থেকে এটাই বাস্তব চিত্র যে, অধিকাংশ রোগীর কাছে ফার্মাসিস্টই তার প্রথম পরামর্শক, চিকিৎসক এবং আরোগ্য সহায়ক। ফার্মেসিতেই অনেক রোগী প্রথম জানতে পারে তাদের উচ্চ রক্তচাপ রোগ বা ডায়াবেটিস এর কথা, জানতে পারে প্রথম গর্ভধারণের সংবাদ। জীবনের এই প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রোগী প্রথম যাকে কাছে পায় তিনি ফার্মাসিস্ট। 

এই বিষয়টি একজন ফার্মাসিস্টের জন্য যতটা আত্মতুষ্টির ঠিক ততটা নাজুকও বটে। প্রাথমিক পরামর্শক হিসেবে ফার্মাসিস্টের কাঁধে বর্তায় সঠিক তথ্য, সঠিক ওষুধ, সঠিক পরামর্শ প্রদানের দায়িত্ব। একজন ফার্মাসিস্টের ওপর দায়িত্ব বর্তায় রোগীকে ড্রাগ-ড্রাগ ইন্টারেকসন, ড্রাগ-ফুড ইন্টারেক্সান বুঝিয়া দেওয়া, ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে তার তথ্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রতিবেদন হিসেবে পাঠানো, বাড়িতে ওষুধ সংরক্ষণের সঠিক উপায় বিস্তারিত জানানো যা আমাদের দেশে অনেকাংশে অনুপস্থিত।