হিরো আলম গাড়ির মামলা খেলেন, পার পেলেন জরিমানা দিয়ে

হিরো আলম গাড়ির মামলা খেলেন, পার পেলেন জরিমানা দিয়ে

মহাসড়কে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর দায়ে মামলা খেয়েছেন সোশাল মিডিয়ায় আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম; পরে তিনি জরিমানা দিয়ে পার পেয়েছেন।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে উপহার পাওয়া গাড়ি আনতে গিয়ে বুধবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশকে তিনি এই জরিমানা দিয়েছেন।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ভুঁইয়া বিকালে বলেন, “সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে চুনারুঘাটে হিরো আলমকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে চলছিল। এ কারণে দুপুর ২টার দিকে গাড়িটিকে মহাসড়কের নতুন ব্রিজের কাছে থামানো হয়।

“পরে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে হাইওয়ে পুলিশ। হিরো আলম আড়াই হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেছেন।”

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সন্ধ্যায় হিরো আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাইভেটকারটি আমার চালক চালাচ্ছিলেন। ৮০ মাইল বেগে তখন গাড়িটি চলছিল। এ কারণে পুলিশ জরিমানা করেছে। আমি জরিমানা দিয়ে গাড়িটি নিয়ে এসেছি।”


নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেন গাড়ি চালাচ্ছিলেন- জানতে চাইলে আলোচিত এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, “আমাকে ধরতে হবে এ কারণে ধরছে, জরিমানা করছে।”

পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান নিজের নোহা ব্র্যান্ডের গাড়িটি হিরো আলমকে উপহার দেন। বুধবার তিনি নিজের বাড়িতে হিরো আলমকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।

গাড়ি বুঝে নিয়ে হিরো আলম সেটিকে তার নির্বাচনী এলাকার (বগুড়ার কাহালু-নন্দীগ্রাম) গরিব মানুষের চিকিৎসার সুবিধার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, “সমাজের উপকার করাই আমার উদ্দেশ্য। তাই এ গাড়িটি আমি না নিয়ে সেবাদানের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বানাব। যে কোনো অসহায় মানুষ এ অ্যাম্বুলেন্সের সেবাগ্রহণ করতে পারবেন।”

বগুড়ার কেবল অপারেটর আশরাফুল আলম নিজের মতো করে গান গেয়ে ও মিউজিক ভিডিও তৈরি করে সোশাল মিডিয়ায় তুলে দেশ এবং দেশের বাইরেও এখন ‘হিরো আলম’ নামে পরিচিত।

তিনি রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। তারপর পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে। তা নিয়েও সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

হিরো আলম ২০১৮ সালে তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছিলেন। এবার ‘ভোটারদের চাওয়ার মুখে’ সেই আসনের পাশাপাশি বগুড়া-৬ (সদর)আসনেও উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হন।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। পরে একতারা নিয়ে ভোটের মাঠে নামেন।

হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী জাসদ প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন এবং বগুড়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগের রাগেবুল আহসান রিপুর কাছে হেরে যান।

এই উপ-নির্বাচনের আগের দিন ফেসবুক লাইভে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন হবিগেঞ্জের শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান।